পুজোয় বেড়াতে যাওয়ার টিকিট কাটা আর টানটান রহস্য রোমাঞ্চ উপন্যাস পড়া একই ব্যাপার। প্রতি মুহূর্তের উত্তেজনা, এই ফসকে গেল গেল হৃদকম্পে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার জোগাড় হয়। আমাদের আজ টিকিট কাটার পর্ব ছিল। নিজেরাই কাটি। দায়িত্ব থাকে কুমার বাহাদুরের ওপর।
কাল রাত্তির থেকে যুদ্ধ চলছে। প্রতিবার বেড়াতে যাওয়ার আগে আমাদের whatsapp এ একটা গ্রূপ খুলে ফেলার দায়িত্বে থাকি আমি। যাওয়ার ঠিকানা বদলাতে থাকে , সঙ্গে গ্রূপের নামও। কাল রাত্তির থেকেই আমরা খুব উত্তেজিত, কারণ irctc র সাইট খুলে দেখা গেছে ৪ মাস আগে যে তারিখের টিকিট বুক করা যাচ্ছে, সেটা সেদিনই ওয়েটিং এ চলে যাচ্ছে। তাই একদম ঝপাঝপ কাজ সারতে হবে। নানা রকম আলোচনায় রাত্তির থেকে whtsapp এর গ্রূপ উত্তাল। বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মতামত, লক্ষ একটাই,কনফার্ম টিকিট চাই-ই চাই। সবার স্নায়ু টান টান কাল কি হবে, একেবারে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার ওয়ার্ল্ড কাপ ফাইনাল খেলার মতন।
রাতে শুয়েই পড়েছি হঠাৎ whtsapp গ্রূপে অংশুমানের মেসেজ রাত ১২ টার পর টিকিট কাটা যাবে মনে হয়। মেসেজ পড়া মাত্রই কুমার বাহাদুর ঝপ করে উঠে ল্যাপটপ খুলে বসল কিন্তু কোথায় কি !!! আবার অংশুমানের মেসেজ," না ১২ টা না , ১২.৩০ টার পর পাওয়া যাবে। " আমি বললাম, "প্রতি বার তো সকাল ৮ টার আগে হয় না"। বলে না না সকাল হলে সব টিকিট শেষ। সেকি কি চাপ তড়িঘড়ি কুমার লটপট থুরি ল্যাপটপ খুলে বসে। এবারে লগ ইন করা যাচ্ছে, কিন্তু টিকিট বুকের অপশন দিচ্ছে না। বোঝা গেল সকাল না হলে কিচ্ছু হইবো না।
সকাল ৭.৫৯ : কুমার বাহাদুর টিকিট কাটিং ক্রিজে নামার জন্য লটপট খুলে, ওয়াই ফাই কানেক্ট করে একদম তৈরি। ঘড়ির বড় কাঁটা ১২ টার ঘরে এবং ছোট কাঁটা ৮ টায় পৌঁছল। ঝপাঝপ আইডি, পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করে ফেলতে হবে। প্যাসেঞ্জের ডিটেলস আগে থেকে সেভ করেই রেখেছে, কোনো চাপ নেই। কিন্তু একি, সবার বেড়াতে যাওয়ার তাড়ায় irctc র সাইটই হ্যাং করে বসে আছে। খোল খোল বাবা খোল। এই তো খুলেছে। প্রথম বলেই ছক্কা, ছটা টিকিট নেমে গেলো। হারাধনের ৯ টি ছেলে রইল বাকি তিন...
নির্বিঘ্নে কোনো কাজ আজ অব্দি হয়েছে যে আজ হবে। জন্ডিস কেস, একটা আই. ডি থেকে এখন ৬টা টিকিট কাটা যাবে, বাকি কাটতে গেলে আবার ১২ টার পর লগিন করতে হবে। কি হবে, কি হবে !!! অনির্বান কে ফোন লাগানোর চেষ্টা হলো, লাগলো না। কি হবে, এদিকে একটা একটা করে সিট কমছে। অঞ্জনকে পাওয়া গেল। বলল আমি ল্যাপটপ খুলছি বাকি তিনজনের ডিটেলস পাঠা। সিট আর ৭৯ টা। whtsapp করা হলো ডিটেলস। সিট ৭৭ টা। whtsapp সিন হচ্ছে না। সিট ৭০ টা। whts app সিন হলো, ওকে তো আবার ডিটেলস এড করতে হবে, তারপর টিকিট কাটা। সিট ৫০ টা। রক্তচাপ বাড়ছে। অপেক্ষা .... অপেক্ষা ...অপেক্ষা। সিট 22 টা....... ধুক পুক,ধুক পুক,ধুকপুক....
অঞ্জনের মেসেজ, "হয়ে গেছে কিন্তু একসাথে হলো না।"
উফফফ ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ল। ম্যাচ জেতার আনন্দে মন একবারে টগবগে।সবার কনফার্ম টিকিট। একটাতে 6 জন একসাথে। আরেকটাতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। তাতে কি, বন্ধুদলের ডুয়ার্স পারি পাকাপাকি ভাবে নিশ্চিত, আর কি চাই।
কাল রাত্তির থেকে যুদ্ধ চলছে। প্রতিবার বেড়াতে যাওয়ার আগে আমাদের whatsapp এ একটা গ্রূপ খুলে ফেলার দায়িত্বে থাকি আমি। যাওয়ার ঠিকানা বদলাতে থাকে , সঙ্গে গ্রূপের নামও। কাল রাত্তির থেকেই আমরা খুব উত্তেজিত, কারণ irctc র সাইট খুলে দেখা গেছে ৪ মাস আগে যে তারিখের টিকিট বুক করা যাচ্ছে, সেটা সেদিনই ওয়েটিং এ চলে যাচ্ছে। তাই একদম ঝপাঝপ কাজ সারতে হবে। নানা রকম আলোচনায় রাত্তির থেকে whtsapp এর গ্রূপ উত্তাল। বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মতামত, লক্ষ একটাই,কনফার্ম টিকিট চাই-ই চাই। সবার স্নায়ু টান টান কাল কি হবে, একেবারে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার ওয়ার্ল্ড কাপ ফাইনাল খেলার মতন।
রাতে শুয়েই পড়েছি হঠাৎ whtsapp গ্রূপে অংশুমানের মেসেজ রাত ১২ টার পর টিকিট কাটা যাবে মনে হয়। মেসেজ পড়া মাত্রই কুমার বাহাদুর ঝপ করে উঠে ল্যাপটপ খুলে বসল কিন্তু কোথায় কি !!! আবার অংশুমানের মেসেজ," না ১২ টা না , ১২.৩০ টার পর পাওয়া যাবে। " আমি বললাম, "প্রতি বার তো সকাল ৮ টার আগে হয় না"। বলে না না সকাল হলে সব টিকিট শেষ। সেকি কি চাপ তড়িঘড়ি কুমার লটপট থুরি ল্যাপটপ খুলে বসে। এবারে লগ ইন করা যাচ্ছে, কিন্তু টিকিট বুকের অপশন দিচ্ছে না। বোঝা গেল সকাল না হলে কিচ্ছু হইবো না।
সকাল ৭.৫৯ : কুমার বাহাদুর টিকিট কাটিং ক্রিজে নামার জন্য লটপট খুলে, ওয়াই ফাই কানেক্ট করে একদম তৈরি। ঘড়ির বড় কাঁটা ১২ টার ঘরে এবং ছোট কাঁটা ৮ টায় পৌঁছল। ঝপাঝপ আইডি, পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করে ফেলতে হবে। প্যাসেঞ্জের ডিটেলস আগে থেকে সেভ করেই রেখেছে, কোনো চাপ নেই। কিন্তু একি, সবার বেড়াতে যাওয়ার তাড়ায় irctc র সাইটই হ্যাং করে বসে আছে। খোল খোল বাবা খোল। এই তো খুলেছে। প্রথম বলেই ছক্কা, ছটা টিকিট নেমে গেলো। হারাধনের ৯ টি ছেলে রইল বাকি তিন...
নির্বিঘ্নে কোনো কাজ আজ অব্দি হয়েছে যে আজ হবে। জন্ডিস কেস, একটা আই. ডি থেকে এখন ৬টা টিকিট কাটা যাবে, বাকি কাটতে গেলে আবার ১২ টার পর লগিন করতে হবে। কি হবে, কি হবে !!! অনির্বান কে ফোন লাগানোর চেষ্টা হলো, লাগলো না। কি হবে, এদিকে একটা একটা করে সিট কমছে। অঞ্জনকে পাওয়া গেল। বলল আমি ল্যাপটপ খুলছি বাকি তিনজনের ডিটেলস পাঠা। সিট আর ৭৯ টা। whtsapp করা হলো ডিটেলস। সিট ৭৭ টা। whtsapp সিন হচ্ছে না। সিট ৭০ টা। whts app সিন হলো, ওকে তো আবার ডিটেলস এড করতে হবে, তারপর টিকিট কাটা। সিট ৫০ টা। রক্তচাপ বাড়ছে। অপেক্ষা .... অপেক্ষা ...অপেক্ষা। সিট 22 টা....... ধুক পুক,ধুক পুক,ধুকপুক....
অঞ্জনের মেসেজ, "হয়ে গেছে কিন্তু একসাথে হলো না।"
উফফফ ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ল। ম্যাচ জেতার আনন্দে মন একবারে টগবগে।সবার কনফার্ম টিকিট। একটাতে 6 জন একসাথে। আরেকটাতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। তাতে কি, বন্ধুদলের ডুয়ার্স পারি পাকাপাকি ভাবে নিশ্চিত, আর কি চাই।
Comments
Post a Comment