Skip to main content

Posts

Showing posts from December, 2017

সমস্যাময় জীবনগাথা

মেয়েদের জীবনের যন্ত্রণার শেষ নেই। এই যে দীর্ঘদিন থেকে চলে আসা নিয়ম, বিয়ের পর ঘর বাড়ী ছেড়ে চলে যাও নতুন ঠিকানায়। কেউ কখনো ভেবে দেখেছে এর জন্য মেয়েদের কি কি সহ্য করতে হয়? শুধু মেয়েটি নয়, তাই পরিবারের সকলকে কি কি সম্যসার মুখোমুখি হতে হয় কেউ ভাবতেই পারবে না। এই যে আমি, আমার বাবা-মার একটি মাত্র সলতে। আমার বিয়ের পর আমার বাবা তো এইসব ঝামেলায় যাবেন না বলে আগে ভাগেই শিফ্ট করে গেছেন অন্য জগতে, তো তাঁর কোনো সমস্যাই নেই, যত সমস্যা আমার মার। তিনি তো মেয়ের নামে দিন শুরু করেন এবং তার নামেই শেষ করেন। এইরকম এক জন মহিলাকে কত শত ঝামেলার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় মেয়েকে বিয়ে দিয়ে অন্য বাড়িতে পাঠিয়ে দেবার পর, তা কি সমাজ বুঝবে???? বুঝবে না। এতদিন আমার এসব বিষয়ে কিছুই মনে হয়নি। দু বাড়ি দিব্যি সামলেছি আমি। আর আমি এও দেখেছি বাজার,দোকান, ব্যাঙ্ক, সংসার সব একা হাতে দিব্যি সামলেছেন আমার মাতে। শুধু আমি না থাকায় আমায় না দেখার জন্য হৃদপুরের তার যে বিপুল পরিমাণে উচাটন হয় এবং মস্তিষ্কে যা আসে না ভেবে বলে যাওয়ার শ্রোতা তিনি পান না... ব্যাস শুধু এটুকুই। এটুকুও পুষিয়ে যায় প্রতি সপ্তাহান্তে দিন খানেক বা কখনো দিন দুয়েকের জন

সান্ধ্যভ্রমনের সাত পাঁচ

প্রতি বছর দুর্গা পুজোর পর কোথাও না কোথাও বেড়াতে যাওয়া হয়ই। বেড়িয়ে ফিরেই আমি ও কুমার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই, এই যে পরিমান হাঁটাহাঁটি আমরা বেড়াতে গিয়ে করছি সেই একই পরিমান হাঁটাহাঁটি আমরা রোজ করবো। ঠিক যেমন পরীক্ষা শিওরে সংক্রান্তি হলে নাওয়া খাওয়া ভুলে পড়তুম আর বলতুম, এবার থেকে "ঠিক-ঠিক" সারা বছর এই রকম ভাবেই পড়বো এবং পরীক্ষা শেষে হবার পর সেই "ঠিক-ঠিক" পুরোদস্তুর বেঠিক হয়ে পড়াশোনার হাল যেমনকার তেমনই থেকে যেতো । অনেকটা সেরকমই কঠিন পণ বলা যেতে পারে । আর যেহেতু প্রতিজ্ঞাটি কঠিন, তাই ঠান্ডায় জমে কঠিন হয়ে থাকলেও ঋতু বদলের সাথে ধীরে ধীরে তার রূপও বদলে যেতে থাকে, এই আর কি। যদিও পরের বছর বেড়িয়ে ফিরে আবার আমরা নতুন ভাবে পুনর্প্রতিজ্ঞ হই। তো যাই হোক, সকালে দুজনেরই বেরোনো ও সংসারের কাজে (আসল গপ্পো হলো, ভোর বেলায় আমাদের স্বয়ংসত্তার মধ্যে যে কুম্ভকর্ণসত্তার প্রভাব পুরোদস্তুর বিরাজ করে, তা কাটিয়ে উঠে শরীরচর্চার দিকে মনোনিবেশ করা একে বারেই অসম্ভব ব্যাপার) প্রাতঃভ্রমন হয়ে ওঠে না। সারাদিনের সব কাজ মিটিয়ে রাত্তিরে সাড়ে আটটা নাগাদ আমরা সান্ধ্যভ্রমণে বেরোই। গত ৩ বছর ধরেই এই চলছে। রাত্তির