Skip to main content

Posts

Showing posts from August, 2017

ধন্দ

একটা প্রশ্ন মাঝেমাঝেই একটা অদ্ভুত ধন্দে ফেলে দেয় ...... আমার জীবনের সবচেয়ে দুটো গুরুত্বপূর্ণ মানুষ সম্পুর্ণ দুটো আলাদা মেরুর৷ আমার মা এবং আমার কুমার বাহাদুর ৷ আমার মার ৩৩ কোটি দেব - দেবীর ওপর প্রবল আস্থা আর আমার কত্তা বাবু পুরোদস্তুর নাস্তিক৷ আমার বাবাও ঈশ্বর বিশ্বাস করতেন না কিন্তু আমার মা কে কোনকিছু থেকে বিরত কখনও করেননি ৷ পুজোর দশকর্মা, ফলের বাজার থেকে মিষ্টি আনা এবং পুজোর পর মহানন্দে প্রসাদ খাওয়া, এই সবই বাবা সইচ্ছাতেই করতেন৷ কুমার বাহাদুরের সঙ্গে, আমার যে অন্তরঙ্গ বন্ধুর মাধ্যমে আলাপ, সে আমায় বলেছিল , ওরা নাস্তিক জানিস, ওদের বাড়ীতে কোন পুজো হয় না, নিয়ম মেনে বিয়েও হয় না, শুধু রেজিষ্ট্রি হয়৷ শুনে বলেছিলাম ভালোই তো, ঝামেলা কম৷ নিয়ম মাফিক ভালোবাসার প্রস্তাব দেওয়া - নেওয়া আমাদের মধ্যে কখনও হয়নি, কিন্তু যখন মনের দপ্তর ঘোষণা করল সম্পর্কটা শুধু বন্ধুত্বের থেকে আরও আরও বেশি কিছু, মনে আছে আমি ওকে বলেছিলাম, "আমি বাড়ীর একটিমাত্র মেয়ে, আমার বিয়ে নিয়ে অনেকের অনেক শখ আল্হাদ আছে, তোমাদের বাড়ীতে না হলেও, আমাদের বাড়ীতে কিন্তু নিয়ম মেনেই বিয়ে করতে হবে৷" ও এক কথায় হাসতে হাসতে বলেছিল, &qu

সারপ্রাইজের জন্মদিন

বছরের একটা দিন আছে যেটা শুধু আমার, যেদিন সবাই আমার কথা শুনবে , আমার সব আবদার , দাবী মানতে আমি বাধ্য করবো , সবাই ভালো - ভালো কথা বলবে , সেই দিনের আমিই রাজা ৷ সেটা বছরের একটাই দিন ,জন্মদিন ৷ এবছর ৩১ হলো , থুড়ি মা'র কথায় ৩০+ ৷ মা'তো পারলে বয়সটা তিনেই আটকে রাখে ৷ তো যা বলছিলুম , জন্মদিন ... প্রতি বছর আমি আমার জন্মদিন নিয়ে প্রবল উৎসাহিত থাকি, হ্যাঁ নিন্দুকের মুখে ছাই দিয়ে বলব এই ৩১ এও আমার জন্মদিন নিয়ে উৎসাহে কোন ঘাটতি নেই আর আগামী যতগুলো বছর বাঁচবো একই উৎসাহপ্রথা চলতে থাকবে এ কথা হলফ করে বলতে পারি ৷ আগষ্ট মাস পড়লেই আমার মনে হতে থাকে ১২ তারিখ আসছে আসছে , মা'কে মনে করানোর দরকার পড়ে না , তিনি তো আমার এক কাঠি ওপরে ৷কিন্তু আমার ভুলো বরটা যাতে কোনভাবেই না ভোলে তার প্রস্তুতি পুরোপুরি নিয়েনি ৷ না বাবা , বর জন্মদিন ভুলে যাবে , তারপর জন্মদিনের সারাদিন মুড অফ করে মান - অভিমান করব, ঐ সব চক্কোরে আমি নেই ৷ তাই সপ্তাখানেক আগে থেকেই কাউন্টডাউন চালাতে থাকি ৷ যদিও ওর জন্য ঐদিন ভোলা খুব একটা সহজ না , একই দিনে বউ আর মা'র জন্মদিন হলে , সেইদিনটি ভোলা একটু চাপের ৷ প্রতি বছর কুমার বাহাদুর ঘোর চ

সন্দেশ shake

স্কুল - কলেজ থেকে একসাথে ফেরার সময় আমাদের প্রিয় মোমোর দোকানে সবে মোমো খাওয়া শেষ হয়েছে ,বলে.. চলো, সোডা খাই....আমার তখন মোমো আর সুপে পেট আই-ঢাই ..... বললুমঃ " অসম্ভব! তুমি খেলে খাও আমি নেই৷ " " নাহ্ তাহলে খাবো না থাক ... " " আরে কেন? তুমি খাও না, তাছাড়া আমি দুবার চা খেয়েছি, আর কোন লিকুইড জিনিষের জন্য পেটে জায়গা নাই৷ " " নাহ্ থাক ছেড়ে দাও, অন্য কোনদিন খাব.... " " উফফ! কি জ্বালা, আচ্ছা চলো, খাচ্ছি৷ " " না না থাক, তোমার পেটে তো জায়গা নেই, ছেড়ে দাও ... " এই কথোপকথনে যদি আমি দাঁড়ি না টানি, repeat mode চলতেই থাকবে জানি৷ তাই আর কিছু না বলে আমিও বললুম আচ্ছা ঠিক আছে অন্য দিন হবে৷ ফেরার পর স্বাভাবিক ভাবেই রাত্তিরের রান্নার কাজকর্মে ব্যস্ত আমি, হঠাৎ দেখি মুখ ভার করে রান্নাঘরে আগমন ঘটল , কমপ্ল্যানের কৌটো থেকে দুচামচ শুকনো কমপ্ল্যান মুখে পুরে গজগজ শুরু করলঃ " হুহহ ... ওকে আমি মোমো খাওয়ালুম কিন্তু ও আমায় সোডা খাওয়াল না, এখনতো প্রাণটা milkshake milkshake করছে৷ চলো milkshake খেয়ে আসি৷ " " মাথাটা পুরোটাই গেছে? নাকি একটু