Skip to main content

Posts

Showing posts from February, 2018

স্মৃতি-শাপ

"তোমার পায়েসে কিন্তু মিষ্টি একদম কম দিয়েছে। রুমকি বললো তোমার সুগারটা বেড়েছে তো, তাই। খেয়ে নাও।" মনোতোষ বাবু আজ ৭০ পূর্ণ করলেন। এতগুলো বছরে আজ প্রথম বার শিউলি দেবী নিজে হাতে জন্মদিনের পায়েস মনোতোষ বাবুকে খাইয়ে দিলেন। এতদিনের ঝড় ঝাপটায় কোথায় যেন হারিয়ে যাওয়া সেই ছোট্ট ইচ্ছেটার পূরণ ঘটে গেল মনোতোষ বাবুর জীবনে। মনোতোষবাবু এবং শিউলিদেবীর ৩৫ বছরের বিবাহিত জীবন। দেখাশোনা করেই বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের আগের নিজেদের মনের ভাঙা-গড়ার সব গল্প স্বছন্দে বলেছিলেন একে অপরকে। দুজনেই চেয়েছিলেন একে অপরকে জীবন দোসর বানিয়ে, নতুন ভাবে সবকিছু শুরু করতে। কিন্তু যা ভাবা হয় বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই জীবন যেন তার উলটো পথ ধরে। মনোতোষ বাবুকে ধীরে ধীরে অসম্ভব ভালোবেসে ফেলেন শিউলি দেবী। এতটাই যে তার থেকে জন্ম নেয় অবিশ্বাস,সন্দেহ এবং ভুল বোঝাবুঝি। প্রতি বছর মনোতোষ বাবুর জন্মদিনে প্রথম ফোনটা আসে মৃন্ময়ী দেবীর থেকে। "মৃন্ময়ী" — এই নামটাই মনোতোষ বাবু এবং শিউলি দেবীর সম্পর্কে হয়তো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ওনাদের সন্তানদের থেকেও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই একটা নাম ঘিরেই সব সমস্যার সূত্রপাত। নিজের কোনো বোন না থাকা

কুমার উবাচ

বড় এক অদ্ভুত লোককে বিয়ে করেছি আমি। যেমন নিজে সে অদ্ভুত, তেমনই অদ্ভুত তার জীবনদর্শন। দিন কয়েক আগে কোনো এক কারণে আমার ভীষণই হৃদ-পীড়ন হওয়ায় তিনি আমায় বোঝাচ্ছিলেন, যে কারণে আমি পীড়িত হচ্ছি, সেটা নাকি আসলে পীড়িত হওয়ার মতন কোনো বিষয়ই নয়। সাধারণত মনে মেঘ জমলে, যে কারণে মেঘ জমেছে, সেই কারণটিকে মনের সবচেয়ে কাছের মানুষটি মেঘ জমার যথার্থ কারণ মেনে সম্মতি প্রকাশ করলে , মেঘ আরো ভালো ভাবে জমে, প্রবল বৃষ্টিপাত হয় এবং শেষমেশ মেঘ কেটে রোদ্দুর ওঠে। মনটায় বেশ আরাম লাগে কিন্তু তারপর। কিন্তু কুমারের অসম্মতির হাওয়া পেয়ে আমার মনের মেঘ না জমলো না কাটলো, একদম তালগোল পাকিয়ে দরকাঁচা হয়ে গেল। কুমার বাহাদুরের মতানুসারে,যে কারনে আমার মাঝেমধ্যেই নিম্নচাপ হয়ে থাকে সেই কারণটাই নাকি সবচেয়ে আনন্দ পাওয়ার বিষয়। মাঝে মাঝে সত্যি মনে হয় লোকটার মুন্ডুটা খুলে দেখি, ভেতরে কি আছে,কিভাবে কাজ করে ওর পুরো সিস্টেম। কিন্তু তা আর হয় কি করে, সাত টা নয় পাঁচটা নয় একটা মোটে বর বলে কথা, মুন্ডু খোলার পর যদি আটকানো না যায়, হবে কি আমার!! কাল ওই দরকাঁচা মন নিয়ে যখন মুখ হাঁড়ি করে বসে আছি, কুমার পিতৃস্নেহে শুধলো, "কি গো কি হয়েছে??&quo