Skip to main content

Posts

Showing posts from August, 2018

দীঘার ডায়েরি

উঠলো বাই তো চট করে দীঘায় পালাই। রোজকার জীবনের একঘেয়েমি কাটাতে, বাঙালির ডাল-ভাত বেড়ানোর জায়গা মানে দীঘায় চললুম 2 দিনের জন্য। বেড়াতে যাওয়ার সবকিছুই বড্ড ভালো। যাবো যাবো আনন্দ, জিনিস পত্র নেয়ার লিস্টি বানানো, গোছ-গাছ থেকে শুরু করে সমুদ্দুরের বা পাহাড়ের হাওয়া খাওয়া। তবে সবচেয়ে মিষ্টি ব্যাপার হলো, প্রতি বার বেড়োনোর আগে বাবা - মার সামনাসামনি এবং আরেক মা ওভার ফোনে সতর্কবার্তা। আমরা বেড়াতে গেলেই আমাদের বাড়ির সবাই এক্সপার্ট হয়ে যায়, কেউ বা আবহাওয়া বিশারদ হয়ে যান কেউ বা ভূতত্ববিদ। এই  যেমন আজ বাবা বলল, "একদম জলে নামবি না, কদিন ঝড় বৃষ্টি হবে বলছে", মা বলল, " নানা ঝড় বৃষ্টি হোক বা না হোক জলে নামার কোনো দরকারই নেই", আরেক মা ফোনে বলল, "সমুদ্রের অবস্থা খুব খারাপ নামিস না যেন।" এই একইরকম সতর্কবার্তা চলতেই থাকে পাহাড়,সমুদ্র বা জঙ্গল যেখানেই যাই । আমরা নিজেদের যতই দিগ্গজ ভাবি না কেন বাবা-মা দের কাছে সেই চার-পাঁচ কি তারও কমেই আটকে আছি। আমরাও হাসতে হাসতে নিজেরদের মধ্যে চোখাচুখি সেরে, ঘাড় নেড়ে ভালো বাধ্য বাচ্চাদের মতো তাদের আস্বস্ত করে দি। প্রতিবার আসছি মা,আসছি বাবা বলার পরই

জোড়া জন্মদিন

জন্মদিন মানে মার একটু বেশি আবদার-অধিকার-ইমোশনাল ব্ল্যাকমেল, জন্মদিন মানে বন্ধুদের মন ভালো করা শুভেচ্ছা, জন্মদিন মানে কুমার বাহাদুর কে আরেকটু বেশি অত্যাচার করা , জন্মদিন মানে দুই বাড়ির সবার থেকে আর একটু বেশিই আদরে উচ্ছনে যাওয়া, জন্মদিন মানে বাকি ৩৬৪ দিনের থেকে একটু বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা, সারাদিন মনের মধ্যে মিষ্টি মিষ্টি ভাব। এই ১২ই আগস্ট তারিখ টা আমাদের কুমার নিবাসের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই একই তারিখে এই বাড়ির তিন প্রজন্মের তিন জনের জন্মদিন। আমার দাদু ইন ল, মা  ইন ল আর আমার। দাদুকে আমি দেখিনি। কুমার তখন বেশ ছোটই যখন দাদু মারা যান। বাবা-জেঠুর কাছে শুনেছি দাদুর জন্মদিন এই তারিখেই। দাদুকে পাই না কিন্তু আমার আর মার যুগ্ম জন্মদিনটা বেশ ভালোই কাটে। ওদিকে আবার আমার মাতৃদেবীর আদেশ সারাবছরের ঐদিনটা তেনার, তিনি কাউকে ভাগ দিতে পারবেন না। দু দিকেই দেখতে হবে, দুদিকে দুই মার ইমোশন। তাই একটা মধ্যপন্থা অবলম্বন করি। প্রতি বছরই আমি আগের দিন রান্না করে মাকে খাওয়াই। রাত্রে কেক বানিয়ে রাখি, পর দিন সকালে পায়েস করে, বাড্ডে গার্লকে কেক পায়েস খাইয়ে, পারি দি মার কাছে। মা এখন সবকিছুই ভুলে যায়। নিজ

চিরসখা "সন্দেশ"

কাল সন্ধ্যেয় নানা রকম গপ্পের মধ্যে কথায় কথায় "সন্দেশ" এর কথা উঠলো। কুমার বাহাদুরের জীবনে দুরকম সন্দেশই কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা মোটামুটি ওর কাছের লোকজন সবাই জানে। এক সন্দেশে তার উদরতৃপ্তি ঘটে আরেক "সন্দেশ" তার মনের আরামের খোরাক। সেই ৯৫ সালে মেজপিসি "সন্দেশ" পত্রিকার গ্রাহক করে দিয়েছিলো। তারপর থেকেই কুমারের অন্তরতম সঙ্গী হয়ে ওঠে "সন্দেশ"। গত ২৫ বছরের সন্দেশের সব সংখ্যাই আছে বোধকরি ওর সংগ্রহে আছে। এখনো অন্যান্য যেকোনো পুজোসংখ্যার আগে "সন্দেশ" কবে বেড়োচ্ছে সে খবর জোগাড়ে সবচেয়ে বেশি উৎসাহ থাকে। আমায় আগেও বলেছিলো, কাল যখন "সন্দেশ" এর কথা উঠলো, হঠাৎ মনে পড়ে গেলো। জিগালুম,  সন্দেশে তোমার একবার লেখা বেড়িয়েছিলো না??? হ্যাঁ, হাত পাকাবার আসরে। তোমার কাছে আছে সেই সংখ্যাগুলো?? থাকবে না কেন!! বের করোতো। এমনিতে তো ভুলোরাম, কোথায় কি রাখে দুমিনিট অন্তর ভুলে যায়, কিন্তু নিজের আজীবন দোসরদের খুঁজে পেতে তার বিন্দুমাত্র দেরী হয় না। বলতে না বলতে নিয়ে চলে এলো। ৪ টে গল্প বেড়িয়েছিলো, একটা গল্পের সাথে একটা ছবিও ছিল কিন্তু সেটা কোনো কা