উঠলো বাই তো চট করে দীঘায় পালাই। রোজকার জীবনের একঘেয়েমি কাটাতে, বাঙালির ডাল-ভাত বেড়ানোর জায়গা মানে দীঘায় চললুম 2 দিনের জন্য। বেড়াতে যাওয়ার সবকিছুই বড্ড ভালো। যাবো যাবো আনন্দ, জিনিস পত্র নেয়ার লিস্টি বানানো, গোছ-গাছ থেকে শুরু করে সমুদ্দুরের বা পাহাড়ের হাওয়া খাওয়া। তবে সবচেয়ে মিষ্টি ব্যাপার হলো, প্রতি বার বেড়োনোর আগে বাবা - মার সামনাসামনি এবং আরেক মা ওভার ফোনে সতর্কবার্তা। আমরা বেড়াতে গেলেই আমাদের বাড়ির সবাই এক্সপার্ট হয়ে যায়, কেউ বা আবহাওয়া বিশারদ হয়ে যান কেউ বা ভূতত্ববিদ। এই যেমন আজ বাবা বলল, "একদম জলে নামবি না, কদিন ঝড় বৃষ্টি হবে বলছে", মা বলল, " নানা ঝড় বৃষ্টি হোক বা না হোক জলে নামার কোনো দরকারই নেই", আরেক মা ফোনে বলল, "সমুদ্রের অবস্থা খুব খারাপ নামিস না যেন।" এই একইরকম সতর্কবার্তা চলতেই থাকে পাহাড়,সমুদ্র বা জঙ্গল যেখানেই যাই । আমরা নিজেদের যতই দিগ্গজ ভাবি না কেন বাবা-মা দের কাছে সেই চার-পাঁচ কি তারও কমেই আটকে আছি। আমরাও হাসতে হাসতে নিজেরদের মধ্যে চোখাচুখি সেরে, ঘাড় নেড়ে ভালো বাধ্য বাচ্চাদের মতো তাদের আস্বস্ত করে দি। প্রতিবার আসছি মা,আসছি বাবা বলার পরই ...
প্রতিদিনের একই ভাবে চলে চলা জীবনের, ছোট ছোট মুহূর্ত গুলোকে অক্ষরবন্দী করে এক চিলতে হাসির খোঁজেই এই ইচ্ছেলিখন।